রোহিঙ্গা সমস্যা আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি উল্লেখ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসনে সব দেশকে সক্রিয়ভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার এডিলেইডে অনুষ্ঠিত বালি প্রসেস ফোরামের মানব পাচার ও চোরাচালান এবং এ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আপরাধ বিষয়ক অষ্টম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বালি প্রসেস যেন সমস্যার সাময়িক উপশমের উপলক্ষ না হয় এমন মন্তব্য করে অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণগুলোর মূলোৎপাটনে বিশ্বনেতাদের কাজ করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, যুদ্ধ ও সহিংসতা, দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, নিয়মিত অভিবাসনের স্বল্পতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর মতো সমস্যাগুলো অনিয়মিত অভিবাসন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। বিশ্বের নীতি-নির্ধারকদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে যা দেখা দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বালি প্রসেসকে কার্যকর করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অনিয়মিত অভিবাসনের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে হবে।
সম্মেলনের সাইড লাইনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নীলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন তিনি।
এসময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন।
মন্ত্রী মনে করেন, মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি শরণার্থী ভিসা দিতে রোহিঙ্গাদের গ্রহণের বিষয়টি অস্ট্রেলিয়া বিবেচনা করতে পারে।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার দুটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বেশি ভূমিকা রাখাসহ সেদেশে রোহিঙ্গাদের গ্রহণের বিষয়ও বিবেচনা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. মোমেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আসিয়ান দেশগুলোকে যুক্ত করতে এবং এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা চান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এডিলেইডে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাঠকের মতামত